শেরপুরে বন্যায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত, ২৪২ বিদ্যালয় বন্ধ

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের পাঁচটি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে রবিবার পর্যন্ত জেলার একাধিক উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি নদীর বাঁধ। দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। এ অবস্থায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পানিবন্দিদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরের বাইরের অনেকগুলো সংগঠন কাজ করছে। বন্যাকবলিত হওয়ায় ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেগুলো পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভয়াবহ বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের হাত নেই। যেসব বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।